গত ২০১৯ সালে শেষবার কোপা আমেরিকা জিতেছিল ব্রাজিল। বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই ২০০২ সালে। দীর্ঘ সময় ধরে বড় কোনো ট্রফি জিতেনি ব্রাজিল। এবারের কোপা আমেরিকা থেকেও খালি হাতে ফিরতে হলোে সেলেসাওদের। তাদের মধ্যে ছিল নেইমার জুনিয়রকে না পাওয়ার হতাশাও।
তরুণ দলটি নিয়ে সবেই কাজ শুরু করেছেন কোচ দরিভাল। তাই ধৈর্য ধরে এই দলটার উপর ভরসা রাখতে বললেন ব্রাজিলের অধিনায়ক দানিলো। জুলাই মাসেই ৩৩ বছরে পা রাখা দানিলো পরের কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন কিনা এখনো নিজেই জানেন না। তাই এই দলটার উপর আস্থা রাখার আহ্বান তার।
এদিকে দানিলো বলেন, ‘আমরা একজন খেলোয়াড় কম খেলার সুবিধা নিতে পারিনি। আমাদের আরো সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল দুটি সুযোগের ক্ষেত্রে। আমাদের যা কিছু ছিল, সব নিয়েই লড়াই করেছি। ভালো পারফর্ম করছি। তারপর পেনাল্টি। পেনাল্টিতেও প্রায় সবাই কাজ করেছিল। কিন্তু এই তরুণ দলটি (উরুগুয়ে) তাদের দক্ষতা দেখিয়েছে।’
টুর্নামেন্টে এন্ড্রিক, সাভিনহোরা ভালো পারফর্ম দেখিয়েছেন। এ বিষয়ে দানিলো বলেন, ‘আমি আশা করবো, সমর্থকরা যেন ধৈর্য ধরে। এটা সত্যি যে, ব্রাজিল দীর্ঘদিন ট্রফি জিতছে না। কিন্তু এই তরুণ দলটার প্রতি আস্থা রাখা উচিত। আমি আমার কথা বলছি না। আমি জানি না কতদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবো। এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উপর সবার ভরসা করা উচিত। এন্ড্রিক, সাভিনহোদের এখন সমর্থন দরকার।’
দলের দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার মারকুইনহস ও অ্যালিসন বেকারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন দানিলো। উরুগুয়ের সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে পেরে খুশি দানিলো।
এদিকে ব্রাজিল দলপতি বলেন, ‘মাঝেমাঝে এটা সত্যি যে, আমাদের কিছু জেতা দরকার; এই চাওয়াটা অমূলক নয়। কিন্তু আজকে আমরা দেখিয়েছি, আমরা প্রস্তুত। ফলাফলটা আমাদের পক্ষে ছিল না। কারণ উরুগুয়ে আজকের আগে পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলে এসেছে। তারা ৯ পয়েন্টের পাশাপাশি অনেক গোল করে এসেছে। আমরা আজকে প্রায় সমান ম্যাচ খেলেছি তাদের সঙ্গে। দুই দলেরই জয়ের সুযোগ ছিল।’